টেস্টে ক্যারিবিয়ানদের সাথে হেরে র্যাংকিং হারাল বাংলাদেশ
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে সাকিবের চমৎকার বোলিংয়ে মাত্র ১২৯ রানে গুটিয়ে দেয় বাংলাদেশ । ফলে টাইগারদের জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ৩৩৫ রানের।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার তামিম ইকবালের উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। এই ওপেনার কোনো রান না করেই জেসন হোল্ডারের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে আউট হন।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দারুণ এক জুটি গড়ে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন লিটন দাস ও মমিনুল হক। এই দুজনে যোগ করেন ৩৮ রান। ব্যক্তিগত ৩৩ রানে লিটন কিমো পালের বলে শাই হোপের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন।
১৪.৪ ওভারে দলীয় অর্ধশতক পূরণ হয় বাংলাদেশের। এর পরের বলেই রস্টন চেজ মমিনুলকে ব্যক্তিগত ১৫ রানে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে আউট করেন। এরপর শুন্য রানের বিদায় নেন শোহান। এরপর লড়াই চালিয়ে যান সাকিব তিনি ৫৪ রান করে হোল্ডারের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেন। আর বাকি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কেও তেমন কোন রান করতে পারেনিন। শেষ পর্যন্ত ১৬৮ রানে সব উইকেট হারায় বাংলাদেশ। আর আর ফলেই ১৬৬ রানের বিশাল জয় পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
আর পরাজয়ে টেস্টে র্যাংকিংয়ে হারলো বাংলাদেশ। টানা দুইটি টেস্টে বড় ব্যবধানে পরাজয়ের ফলে সাকিব বাহিনীরর রেটিং পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬৬তে । সিরিজ শুরুর আগে যেটি ছিলো ৭৫। অর্থাৎ ৯টি রেটিং পয়েন্ট খোয়াতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
অপরদিকে টাইগারদের নাস্তানাবুদ করার মাধ্যমে দারুণ উন্নতি হয়েছে উইন্ডিজদের। ৭২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে সিরিজ শুরু করা ক্যারিবিয়ানদের পয়েন্ট বেড়েছে ৫টি এবং র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশকে টপকে আট নম্বরে উঠে এসেছে তারা।
সুতরাং শুধু ধবল ধোলাই নয়, সব দিক থেকেই ব্যর্থতার একটি সিরিজ পার করলো বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। টেস্টে এখনও যে তারা তিমিরেই রয়ে গিয়েছে সেটি আবারো যেন প্রমাণিত করলো তারা স্পষ্টভাবে।
আইসিসি টেস্ট র্যাংকিং:
ভারত (রেটিং পয়েন্ট- ১২৫), দক্ষিণ আফ্রিকা (রেটিং পয়েন্ট- ১১২), অস্ট্রেলিয়া (রেটিং পয়েন্ট- ১০৬), নিউজিল্যান্ড (রেটিং পয়েন্ট- ১০২), ইংল্যান্ড (রেটিং পয়েন্ট- ৯৭), শ্রীলঙ্কা (রেটিং পয়েন্ট- ৯১), পাকিস্তান (রেটিং পয়েন্ট- ৮৮), ওয়েস্ট ইন্ডিজ (রেটিং পয়েন্ট- ৭৭), বাংলাদেশ (রেটিং পয়েন্ট- ৬৭)এবং জিম্বাবুয়ে (রেটিং পয়েন্ট- ২)।